আন্তর্জাতিক

করোনাভাইরাস কে হারানোর জন্য কিছু নতুন উদ্ভাবন প্রয়োজন – বিল গেটস

করোনাভাইরাস কে হারানোর জন্য কিছু নতুন উদ্ভাবন প্রয়োজন – বিল গেটস: করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীতে আতঙ্ক সৃষ্টিকারী একটি নাম। মহামারী এই ভাইরাসটি সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক সামাজিক রাজনৈতিক সকল কর্মকাণ্ডকে স্থবির করে দিয়েছে।

করোনা কালীন সময়ে সমগ্র পৃথিবী ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস সমস্ত পৃথিবীর সকল মানুষের জীবনযাত্রাকে একেবারেই স্থবির করে দিয়েছে।

এ নিয়ে চিন্তার শেষ নেই পৃথিবীর সকল চিন্তাবিদ দার্শনিক এবং গবেষকদের। কেউ ভাবছেন করো না চিকিৎসা নিয়ে, কেউ ভাবছেন করোটা পরবর্তী পৃথিবী কেমন হবে কিভাবে বেঁচে থাকবে পৃথিবীর মানুষ তা নিয়ে।

করো না নিয়ে পৃথিবীর সেরা ধনীদের একজন প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস তার ব্যক্তিগত পোর্টাল গেটস নোট এ একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন।

করো না কে হারানোর জন্য বেশ কিছু প্রযুক্তি উদ্ভাবন নিয়ে তিনি আলোচনা করেন তার পোর্টালে। তিনি বলেন- মহামারী করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য সম্পদ ও সমৃদ্ধির বিশাল ক্ষতি করেছে। এই অবস্থা অনেকটা বিশ্বযুদ্ধের মতই। পৃথিবীর সকল মানুষ প্রত্যেক এই একই সরলরেখায় এখন রয়েছে। করোনা (কোভিড-১৯) বর্তমান আধুনিক যুগের সর্বপ্রথম মহামারী।

মহামারী রোগ সম্পর্কে জানতে এবং এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উপাদান উন্নয়নে প্রত্যেককে একত্রে কাজ করতে পারে। আমি মনে করি, ভাইরাসটির সংক্রমণ বন্ধ করতে বৈশ্বিক উদ্ভাবন প্রধান চাবিকাঠি।

টেস্ট, চিকিৎসা, ঔষধ, ও সংক্রমণ দমনের নীতি এর অন্তর্ভুক্ত, যা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অগ্রগতির ক্ষতি কমাতে পারে। ব্যাখ্যামূলক অগ্রগতি ও হ্রাস: মহামারীর প্রথম ধাপে আমরা বিভিন্ন দেশের সংক্রমণের ব্যাখ্যামূলক চিত্র দেখেছিলাম, চীন থেকে শুরু হয়ে এশিয়া জুড়ে, এরপর ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে।

প্রতিমাসে আক্রান্তের সংখ্যা বহুবার দ্বিগুণ হয়েছে। যদি মানুষের স্বভাব পরিবর্তন না হতো, তাহলে অধিকাংশ মানুষ সংক্রমিত হত। স্বভাব পরিবর্তনের মাধ্যমে বহু দেশ সংক্রমণের হার নিম্নস্তরে রেখেছে এবং কমাতে শুরু করেছে।

স্বভাব পরিবর্তনের বড় উপকারিতা হলো নাটকীয়ভাবে সংক্রমনের হার কমানো, এর কারণে প্রতি 8 দিনে দ্বিগুণ হওয়ার পরিবর্তে প্রতি আটদিনের সংক্রমণ নিন্মগামী হয়েছে। প্রথমে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কতজন নতুনভাবে সংক্রমিত হয়েছিল এটি শনাক্ত করতে আমরা পুনরুৎপাদন হার ব্যবহার করি।

এটি খুঁজে পাওয়া খুবই কঠিন। বহু মানুষ এটা উপলব্ধি করবে, অনেক জায়গায় আমরা এপ্রিল মাসে হাসপাতালে প্রচুর জনসমাগম ও জুলাইয়ের শেষে শয্যা খালি হতে দেখব। এটাই সংক্রমণ হ্রাসের ব্যাখ্যামূলক বৈশিষ্ট্য।

গ্রীষ্মকালে কিছু জায়গায় যেখানে অভ্যাসগত পরিবর্তন মেনে চলা হয়েছে সেখানে ব্যাখ্যামূলক সংক্রমণ রাস হয়েছে। আমরা কি তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে? স্বভাবগত পরিবর্তন প্রয়োজন ছিল কিনা এটা জিজ্ঞেস করা মানুষের জন্য যৌক্তিক।

জবাব হলো হ্যাঁ এই পরিবর্তন আমাদের লাখ লাখ মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভিড় এড়াতে সাহায্য করেছে। অর্থনৈতিক ক্ষতি পরিশোধ করে সংক্রমণ হার কমানো গেছে নজিরবিহীনভাবে।

যে কোন কিছুর চেয়ে কর্মসংস্থান কমে যাওয়া খুবই গুরুত্ব দ্রুত হয়েছে এর আগে কখনো হয়নি এমন। যখন মানুষ বিস্তৃতভাবে রোগ ছড়াচ্ছে বলে শুনেছি তখন তারা স্বভাব পরিবর্তন করে ফেলেছে। 2019 সালের অর্থনীতিকে 2020 সালে আরো শক্তিশালী করার সুযোগ সেখানে ছিল না।

প্রত্যেক মানুষ নিজে আক্রান্ত হওয়া বা তাদের পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিদের সংক্রমিত করে রাতে কাজে না যাওয়া রেস্টুরেন্টে খাওয়া বা ভ্রমণে না যাওয়া কি পছন্দ করেছে। সংক্রমনের হার নিম্নস্তরের রাখতে যথেষ্ট মানুষ তাদের অভ্যাস পরিবর্তন অভ্যস্ত হয়েছে, সরকারে মনটা নিশ্চিত হওয়ার পরেই কিছু কর্মকান্ড খুলে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে করছে।

ধনী দেশগুলো সংক্রমণের হার কমানোর নিরীক্ষণ করেই স্বাভাবিক অবস্থায় ফেলার চিন্তাভাবনা করছে। এমনকি সরকার কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করছে। এখনই সকলকে কাজে ফেরার অনুমতি দেবেন না। কিছু মানুষ দ্রুতই কড়াকড়িতে শিথিলতা চান এবং বিধি-নিষেধ ভাঙতে পছন্দ করবেন যেটি সবাইকে ঝুঁকিতে ফেলবে। নেতৃবৃন্দের উচিত সকল মানুষকে আদেশ পালনে উৎসাহিত করা।

শত্রুকে হারাতে প্রয়োজন নতুন উদ্ভাবন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রাডার টর্পেডো এবং কোড ব্রেকিং এর মত কিছু বিস্ময়কর উদ্ভাবন যুদ্ধ দ্রুত সমাপ্তিতে সাহায্য করেছিল। মহামারীর ক্ষেত্রেও এটি হবে। এই উদ্ভাবন কে আমি পাঁচটি প্রকারে বিভক্ত করেছি- চিকিৎসা, ঔষধ, টেস্টিং কিট, কন্টাক্ট ট্রেসিং ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার নিয়ম নীতি।

এক্ষেত্রে গুলোতে অগ্রগতি ছাড়া আমরা কিছুতেই স্বাভাবিক ব্যবসায় ফিরতে বা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারবোনা। প্রতি সপ্তাহেই আমরা নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে পড়ছি এবং সেগুলো প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু অধিকাংশ ব্যর্থ হচ্ছে। আমি একান্ত আশাবাদী, চিক কিছু চিকিৎসাপদ্ধতি এ রোগের বোঝা কমাতে পারবে।

এর মধ্যে কিছু চিকিৎসাপদ্ধতি উন্নয়নশীল দেশের চেয়ে ধনী দেশগুলোতে সরবরাহ করা সহজ হবে। আর কিছু জন্য আরও সময় প্রয়োজন। গ্রীষ্মকালের মধ্যে বা বর্ষা এগুলো দিকে অংশে পাওয়া যেতে পারে। সুস্থ হওয়ার রোগীর প্লাসমা ব্যবহারেও আরেক কার্যকরীচিকিৎসা হতে পারে। আক্রান্ত মানুষ থেকে সংক্রমিত ব্যক্তিদের খুঁজতে মোবাইল ডিটেক্টর বা জিপিএস ট্র্যাকিং এর মত প্রযুক্তি ব্যবহার বেশ ফলপ্রসূ। সূত্র: গেটস নোট, লেখক: বিল গেটস

আপনার জন্য আরও কিছু তথ্যঃ

বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় দৈনিক পত্রিকার গুলোর সর্বশেষ শিরোনাম সবার আগে আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে আমাদের পেইজটি লাইক ও ফলো করে রাখুন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক সর্বাধিক পঠিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার শিরোনাম দেখুন:

সকল স্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত সঠিক তথ্য, সরকারি-বেসরকারি চাকুরি বিজ্ঞপ্তি, চাকুরির পরীক্ষা, এডমিট কার্ড, পরীক্ষার রুটিন, সরকারি বেসরকারি বৃত্তি, উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত তথ্য সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজটি Follow করে রাখুন।

ইউটিউবে সর্বশেষ আপডেট পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ইউটিউব চ্যানেলটি Subscribe করে রাখুন।

আপনার প্রতিষ্ঠানের যেকোন বিজ্ঞপ্তি, খবর, নোটিশ ও জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে লেখা প্রকাশ করতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

দেশের অন্যতম প্রিয় অনলাইন পোর্টাল সর্বদাই সত্য ও বস্তুনির্ভর তথ্য প্রকাশে বদ্ধপরিকর। আপনার যেকোন অভিযোগ আপত্তি ও পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে।

ক্যাটাগরি ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখুন

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ